- সিএইচসিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ: নবনিয়োগকৃত সিএইচসিপিদের ১২ সপ্তাহব্যাপী (৬ সপ্তাহ তত্বীয় + ৬ সপ্তাহ ব্যবহারিক) প্রশিক্ষণ প্রদান।
-
সিএইচসিপি রিফেসার্স প্রশিক্ষণ: সকল সিএইসিপিদের মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদানের ২ বৎসর পর পর রিফেসার্স প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে যা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। তাদের রিফেসার্স প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন পর্যায়ের তত্বাবধায়ক, গবেষণা ও জরিপের মাধ্যমে সমর্থিত। তাদেরকে হালনাগাদ তথ্যাদি, পরবর্তী লক্ষ্য ও অর্জনে সচেতন করতে হবে।
- সিএসবিএ প্রশিক্ষণ: সকল মহিলা সিএইচসিপিদের সিএসবিএ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যেহেতু পরিকল্পনা আছে যে প্রতিটি ইউনিয়নের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে দক্ষ কর্মীর মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসব পরিচালিত হবে সেহেতু মহিলা সিএইচসিপিদের সিএসবিএ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ প্রশিক্ষণটি এমএনসিএএইচ অপারেশনাল প্লানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে এবং সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল প্লানে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ থাকা আবশ্যক।
- সিজি প্রশিক্ষণ : ২০১৫ সালে দেশব্যাপী স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পর পুন:গঠিত সকল সিজি সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া আবশ্যক। যেহেতু তাদের ভূমিকা / অবদান সম্পৃর্ণ স্বেচ্ছাসেবক মূলক তাই তাদেরকে প্রশিক্ষন ও ২ বছর পর পর রিফ্রেসার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তারা কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের আর ও নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত থাকেন।
- সিএসজি প্রশিক্ষণ : সিএসজি সদস্যদের ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ গ্রুপগুলি এ পর্যন্ত একবারই গঠন করা হয়েছে যদিও প্রতি দুইবছর পর পুন: গঠনের বিধান রয়েছে। তাদের ভূমিকা/অবদান স্বেচ্ছাসেবা মূলক, তাই তাদেও জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের সাথে আর ও ঘন্ষ্ঠিভাবে সম্পৃক্ত রাখার জন্য প্রতি দুই বছর পরপর তাদের জন্য প্রশিক্ষণ/ওরিয়েনটেশন এর আয়োজন করতে হবে।
-
উল্লেখ্য যে, যেখানে সিজি ও সিএসজি গতিশীল সেসব কমিউনিটি ক্লিনিক অন্যগুলির তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভালভাবে চলে।
স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী প্রশিক্ষণ: স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীদের কমিউনিটি ক্লিনিক এর সেবা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া আবশ্যক যেহেতু তারা সিএইচসিপিদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদানে সহায়তা করে। তারা ইতিপূর্বে এইচপিএসপি এর আওতায় কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ পেয়েছিল।
- ই-লার্নিং : গুরুত্বপূর্ণ বিষযসমূহে সিএইচসিপিদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ই লার্নিং এর ব্যবস্থা করা আবশ্যক। এটি স্বল্পব্যয়ী স্বল্প সময় সাপেক্ষ এবং অত্যন্ত কার্যকরী।
- বৈদেশিক প্রশিক্ষণ : বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবস্থাপক/কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক প্রশিক্ষণ চলমান থাকবে। দক্ষ ব্যবস্থাপনা, যারা বিগত ৩ বছরের মধ্যে কোন বৈদেশিক প্রশিক্ষন পাননি, জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনীমূলক কোন উদ্যোগ গ্রহন ও বস্তবায়ন, মহিলাদের অগ্রাধিকার ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় এনে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের অধিকাংশই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা (৭৫% এ অধিক)।
- স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি প্রশিক্ষণ : স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ প্রদান আবশ্যক। কমিউনিটি ক্লিনিকের সুষ্ঠু পরিচালনায় ইউনিয়ন পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ও সহায়ক ভ‚মিকা পালন করে। নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কমিউনিটি গ্রুপের সভাপতি এবং চেয়ারম্যান ইউনিয়নস্থ সকল ক্লিনিকের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। উপজেলা পরিষদ ও কমিউনিটি ক্লিনিকে সহায়তা প্রদান করে। অনেক ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ বিভিন্নভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকে সহায়তা করেছে (যেমন: মেরামত, যাতায়াত পথ নির্মাণ/সংস্কার , মাটি ভরাট, আসবাবপত্র সরবরাহ, গভীর নলক‚প, পানির পাম্প, সোলার প্যানেল স্থাপন এবং স্বাভাবিক প্রসব কক্ষ নির্মাণ)। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিবৃন্দ কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ে সম্যক ধারনা পাবেন, দায়িত্ব কর্তব্য পালনে তাদের সম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে।
- প্রথম সারির তত্বাবধায়ক প্রশিক্ষণ : প্রথম সারির তত্বাবধায়কদের কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে-কেননা সুপারভিশন ও মনিটরিং এ দূর্বলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা ইতিপূর্বে সুনিদিষ্টভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয় ভিত্তিক কোন প্রশিক্ষণ পাননি। আশা করা যায় যে, প্রশিক্ষণ এর পরে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার সংখ্যা ও গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে।
- মাল্টিপারপাস স্বাস্থ্য সেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ : জনগণের মধ্য হতে সেচ্ছাসেবক/সেবিকা, (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের সদস্য সদস্যা) বাছাই করতে হবে এবং প্রশিক্ষণ দিতে হবে যাতে তারা বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা করতে পারে, যেমন: গর্ভবতী, জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রিকরণ, টিকা, পরিবার পরিকল্পনা, সেবা হতে বাদপড়াদের খুঁজে বের করে সেবা গ্রহনে পরামর্শ প্রদান, নতুন কোন রোগ ও বাড়ী-বাড়ী তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি।
-
অন্যান্য স্থানীয় প্রশিক্ষণ : পুষ্টি, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ, এমআইএস, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণে সহযোগিতা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল প্লান এবং সংগঠনের প্রশিক্ষনে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা।
- উপজেলা স্বাস্থ্য পদ্ধতি :
- নেতৃত্ব বিষয়ক প্রশিক্ষণ
- দক্ষতা উন্নয়নের এস ও পি বিষয়ক প্রশিক্ষণ
- সিকিউআই ও টিকিউ এম পদ্ধতি অনুসরনের মাধ্যমে কার্যকরী হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
- এস ও পি অনুযায়ী মানসম্মত রেফারেল পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
- মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
- মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
- আরবান হেলথ (ইউএইচ) : ওয়ার্কশপ এবং বস্তি এলাকায় বয়:সন্ধীকারীন স্বাস্থ্য ও গার্মেন্টস কর্মীদের সাথে দলীয় আলোচনা।
- ট্রাইবাল হেলথ (টিএইচ) : ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের অংশগ্রহনে সেমিনার ও ওয়ার্কশপ।