মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মেডিকের বর্জ্যগুলি অত্যন্ত সংক্রামক এবং বিপজ্জনক। এগুলি মারাত্মক রোগ সমূহের জীবানু বহন করে-যেমন হেপাটাইটিস বি, সি এবং এইচআইভি/এইডস ইত্যাদি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সৃষ্ট বর্জের খুব সামান্য অংশই প্রকৃত মেডিকেল বর্জ্য। কিন্তু সামান্য পরিমান মেডিকেল বর্জের সঠিক ব্যবস্থাপনা না হলে সেটি সাধারন বর্জ্যের সাথে মিশে সম্পূর্ন বর্জ্যকেই বিপজ্জনক ও ঝুকিপূর্ন করে তুলতে পারে। স্বভাবতই যদি এ বর্জ্য ডাষ্টবিন, পয়:নালী, খাল এবং/অথবা চুড়ান্ত কোন জায়গায় যেন তেন ভাবে ফেলা হয় তাহলে তা জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি সাধক করে।

মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয় কারণ এটি বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতের মধ্যে নানানভাবেও প্রকৃতিতে প্রভাব ফেলে। বর্জ্যরে নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ও নিস্পত্তি এর অভাবে সংক্রামক ও বিপজ্জনক বর্জ্যে জনগন ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সমূহের নিকট কাজের অগ্রগতির একটি সূচক। বাংলাদেশে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আশানুরুপ নয় বিধায় নানারকম বিষাক্ত দ্রব্যাদি পরিবেশ দূষিত করে।

মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কৌশলের মূল উপাদানসমূহ :

  1. সকল পর্যায়ে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি।
  2. যথাযথ নির্দেশিকা ও সহায়িকা প্রনয়ন।
  3. যথাযথ আইন/নিয়ন্ত্রন কাঠামোর আওতায় দায়বদ্ধতা সৃষ্টি।
  4. মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে গতিশীল ও টেকসই করার লক্ষ্যে উপযোগী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরী করা।
  5. কেন্দ্রীয় ব্যক্তিখাত এর আওতায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠান গুলিতে উপযোগী কাঠামোগত ব্যবস্থা তৈরী করা।

লক্ষ্যমাত্রা সমূহ

  • ১) একটি উপযোগী টেকসই নিরাপদ মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।
  • মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ (বিন ট্রলি, সুই কাটার যন্ত্রপাতি) চিহ্নিতকরণ।
  • স্বাস্থ্য সেবাদানকারী ও বর্জ্য অপসারনে নিয়োজিত কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ব্যক্তিগত সামগ্রী চিহ্নিতকরণ।
  • বর্জ্য পৃথকীকরন বিশেষত: সংক্রামক বর্জ্যরে ক্ষেত্রে পলিথিন ব্যাগ এর ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
  • ২) মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে।
  • উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংক্রামক ও ধারালো বর্জ্যরে চুড়ান্ত ব্যবস্থাপনা।
  • মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সৃষ্ট কমিটিগুলির সক্রিয়করন।
  • ৩) মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংক্রান্ত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন প্রদান।
  • সাধারন জনগণকে বিলবোর্ড, নিত্তন সাইন, ভিডিও, টিভি স্পট ইত্যাদির মাধ্যমে ধারনা দেওয়া ও সচেতনতা বাড়ানো।
  • আইইসি সামগ্রী প্রনয়ন ও বিতরণ।
  • ৪) জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকরন :
  • সাধারন জনগণকে বিলবোর্ড, নিত্তন সাইন, ভিডিও, টিভি স্পট ইত্যাদির মাধ্যমে ধারনা দেওয়া ও সচেতনতা বাড়ানো।
  • আইইসি সামগ্রী প্রনয়ন ও বিতরণ।
  • ৫) মনিটরিং ও মূল্যায়ন :
  • সুনির্দিষ্ট ফরমেট অনুযায়ী তথ্যাদি সংরক্ষন এবং প্রতিবেদন প্রনয়ন।
  • নিয়মিত সুপারভিশন ও মনিটরিং।
সর্বশেষ আপডেট: 2019-05-14 09:59:55