রেফারেল পদ্ধতি

কমিউনিটি ক্লিনিক হতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান অথবা সরাসরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত কার্যকরী রেফারেল পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে এবং প্রতিটি পর্যায়ে তথ্যাদি সংরক্ষণ করতে হবে। জরুরী ও জটিল রোগীদের কমিউনিটি ক্লিনিক হতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসক থাকা সাপেক্ষে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে রেফার করতে হবে। যে রোগীকে রেফার করতে হবে তাকে একটি সতন্ত্র আইডি (পরিচিতি নম্বর) প্রদান পূর্বক বিদ্যমান রেফারেল পদ্ধতিকে শক্তিশালী করতে হবে এবং উচ্চতর পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে রেফার করতে হবে। আইডিযুক্ত রোগীদের অনুসরন করা সম্ভব হবে এবং এ বিষয়ে এমআইএস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর সহযোগিতা নেওয়া হবে। একই সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি কর্ণার স্থাপন করতে হবে, যেটি কমিউনিটি ক্লিনিক হতে রেফারকৃত রোগীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা প্রদান করবে অন্যথায় তারা হতাশ হবেন।

কার্যাবলী

  1. কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদানকারীদের রেফারেল পদ্ধতি এবং তাদের ভূমিকা ও দায়িত্ব বিষয়ে প্রশিক্ষন দিতে হবে।
  2. রেফারেল পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান ঔষধ ও যন্ত্রপাতির তালিকা পূনর্বিবেচনা করতে হবে (যেমন ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপযুক্ত রোগীদের রোগ নিশ্চিত হওয়ার পর অনুসরনের নিমিত্তে কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা যেতে পারে।
  3. কার্যকরী রেফারেল পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রেফারকৃত প্রতিষ্ঠান এবং যেখান হতে রেফার করা হয়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে পর্যালোচনা হওয়া আবশ্যক।
সর্বশেষ আপডেট: 2019-05-14 09:54:12