কমিউনিটি ক্লিনিকের জনবল ও তত্ত্বাবধায়ক

বর্তমানে সিএইচসিপি কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহব্যাপী এবং স্বাস্থ্য সহকারী এবং পরিবার কল্যাণ সহকারী সপ্তাহে ৩ দিন সেবা প্রদান করেন। ৪র্থ এইচপিএনএসপি এর ইএসপি এর আওতায় কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবা ও অতিরিক্ত সেবা চিহ্নিত করা হয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকের পূর্ণ দায়িত্ব কর্মএলাকার সকল জনগনের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা প্রদান করা এবং একই জনগনের মধ্যে খানা ভিত্তিক সেবা প্রদান করছে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী। অধিকন্তু পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে সম্যক ধারনা, টিকা কর্মসূচীর সাফল্য এবং উন্নত যোগাযোগ (অবকাঠামোগত, কারিগরী বিশেষত: মোবাইল ফোন) এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী কর্তৃক প্রদত্ত খানা ভিত্তিক সেবা সমূহের কার্যকারিতা, দ্বৈততা পরিহার ও সম্পদের অপচয় রোধে পর্যালোচনা করা আবশ্যক। তাদেরকে কমিউনিটি ক্লিনিকের অতিরিক্ত সেবাদানকারী হিসাবে পদায়ন করা যেতে পারে, ক্লিনিকের জনবলের অতিরিক্ত চাহিদা এবং তাদের দায়িত্ব কর্তব্য ও পূনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।

বর্তমানে সিএইচসিপি এবং স্বাস্থ্য সহকারীদের তত্ত্বাবধান করেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং পরিবার কল্যান সহকারীদের তত্ত্বাবধান করেন পরিবার কল্যান পরিদর্শক। যখন কমিউনিটি ক্লিনিক হতে ইএসপি সেবা সমূহ প্রদান করা হবে, তখন সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারীদের দায়িত্ব-কর্তব্য পুন:বিন্যাস করতে হবে। সহায়ক তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রে অধিক কারিগরী জ্ঞান সম্পন্ন ব্যবস্থাপক/কর্মকর্তাদের ও কমিউনিটি ক্লিনিক তত্ত্বাবধান করা আবশ্যক।

কার্যাবলী

  1. কমিউনিটি ক্লিনিক হতে ইএসপি নির্ধারিত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে যথাযথ জনবল পদায়নের উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারী কর্তৃক প্রদত্ত সার্বজনীন খানা ভিত্তিক সেবা সমূহ পর্যালোচনা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বিষদ পর্যালোচনা করে কমিউনিটি ক্লিনিকের জনবল বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে।
  2. যদি স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারীদের কমিউনিটি ক্লিনিকে পূর্ন সময়ের জন্য পদায়ন করা হয় তাহলে তাদের জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও সমাজে গ্রহনযোগ্যতার বিষয় সমূহ বিবেচনায় এনে তাদের মধ্যে দায়িত্ব বন্টন করতে হবে।
  3. সে অনুযায়ী তাদের পদবী ও কাজের পরিধি পরিবর্তন করতে হবে।
  4. তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের জন্য তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
  5. তত্ত্বাবধায়কগন যাতে সহায়ক, কার্যকরী এবং মানসম্মত তত্ত্বাবধান করতে পারেন সে লক্ষ্যে সুপারভিশন পদ্ধতি পুন:বিবেচনা করতে হবে।
  6. তত্ত্বাবধায়কগনের পদবী ও কার্যপরিধি সংশোধন করতে হবে এবং তাদেরকে সে অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
সর্বশেষ আপডেট: 2019-05-14 09:46:27