স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিকরণ

কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম ১৯৯৮ সালে শুরু হয় এইচপিএনএসপি (প্রথম সেক্টর কার্যক্রম) এর অধীনে এবং ১৯৯৮-২০০১ সময়ে, ১০ হাজারের বেশী কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মিত হয় এবং প্রায় ৮০০ চালু করা হয কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সালে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা কমিউনিটি ক্লিনিক পূনরুজ্জীবিতকরনের কার্যক্রম সেক্টর কর্মসূচীর বাইরে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হয়। তাই সরকারের মূল ধারার সাথে সম্পৃক্তকরার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিকীকরনের আবশ্যকতা দেখা দেয়। ফলে অদ্যাবধি যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে শুধু সেটি স্থায়ী হবেনা বরং সার্বজনীন স্বাস্থ্যের উদ্দেশ্য এবং উন্নয়ন ঘটবে।

কার্যাবলী

  1. সিবিএইচসি প্রধান কার্যালয়ের জনবল এবং সিএইচসিপিদের পর্যায়ক্রমে রাজস্বখাতে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। রাজস্বখাতে স্থানান্তর পর্যন্ত অপারেশনাল প্লান হতে এ সকল জনবলের বেতন ভাতাদি প্রদান করা হবে।
  2. কমিউনিটি ক্লিনিকগুলি সচল রাখার জন্য ঔষধ ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
  3. উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পারিপার্শ্বিক জনগনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক/কমিউনিটি ক্লিনিক কর্ণার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য পদ্ধতি প্রতিষ্ঠায় এটির অধিকতর প্রয়োজনয়ীতা দেখা দিবে কেননা নিকট ভবিষ্যতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেবলমাত্র জরুরী ও রেফারকৃত রোগীরাই চিকিৎসা পাবেন। এগুলি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনেই প্রতিষ্ঠিত হবে আর এটি পরিচালনার জন্য সিএইচসিপি এর নতুন পদসৃষ্টি ও পূরণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারীদের নিয়োজিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় সরবরাহসমূহ নিশ্চিত করতে হবে। পরবর্তীতে এটি ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ও সম্প্রসারিত করা হবে।
  4. নব নিয়োগকৃত সিএইচসিপিদেও মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
  5. প্রয়োজন অনুযায়ী কমিউনিটি ক্লিনিকের মেরামত/সংস্কার, সংযোগ সড়ক, বিদ্যুৎ সংযোগ, পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সম্ভব হলে এসব কাজ ইউনিয়ন পরিষদ/উপজেলা পরিষদ/স্থানীয়ভাবে আহরিত সম্পদের মাধ্যমে সম্পাদন করা যেতে পারে।
সর্বশেষ আপডেট: 2019-05-14 09:57:25